এইচএসসি/আলিম লেভেল অন্যান্য যেকোনো লেভেল থেকে কঠিনতম একটি পর্যায়। সেই জায়গা থেকে তোমাদেরকে পয়েন্ট আকারে কয়েকটি পরামর্শ দিতে চাই,
১. যতদিন যাচ্ছে এইচএসসি পরবর্তী ভর্তি পরীক্ষা (মেডিকেল/ইঞ্জি./বিশ্ববিদ্যালয়) তীব্র থেকে তীব্রতর প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়ে উঠছে। এইচএসসির পরীক্ষার আগে এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতির পাশাপাশি ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া ইদানীংকালে স্টুডেন্টদের কাছে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে।
তাই তোমরা যদি তোমাদের স্বপ্নের জায়গায় নিজেকে দেখতে চাও তবে প্রস্তুত করতে হবে এখন থেকেই। এখন থেকে মানে এখন থেকেই।
২. বইয়ের প্রতিটি লাইনই বুঝতে হবে। যিনি লিখেছেন তিনি প্রয়োজন আছে বলেই কালো কালির ব্যবহার করেছেন, তাই কোনো লাইনই অপ্রয়োজনীয় নয়।
৩. একদিন ৮-১০ ঘন্টা অন্যান্য দিনে পড়াশোনার খবর নাই, তাহলে কিন্তু হবে না।
পড়তে হবে প্রতিনিয়ত রুটিনমাপিক বুঝার আগ্রহ নিয়ে। আগ্রহ সহকারে পড়তে পারলেই আনন্দ পাওয়া যায়।
৪. একটা টপিক একদিন পড়েই মাথায় না-ঢুকলে সমস্যা নাই। কিছু সময় পর আবার চেষ্টা করলে দেখবে কীভাবে যেন সহজে মাথায় চলে আসবে।
একবার বুঝতে পারলে কিছু দিন পর আবার একটু চোখ বুলালে মাথায় দেখবে লম্বা সময়ের জন্য সেট হয়ে যাচ্ছে।
৫. চিন্তা করো তো কেউ যদি জিজ্ঞেস করে, কী করো তুমি?
উত্তর হয় অমুক ক্লাসে পড়ি। অর্থাৎ আমি শিক্ষার্থী সহজ বাংলায় পড়াশোনাই আমার কাজ, পড়ার টেবিল-ক্লাস রুমই আমার অফিস। তাহলে ফুল ডেডিক্যাশনসহ পড়তে সমস্যাটা কোথায়?
পড়ার পিছনে সময় দিতে সমস্যাটা কোথায়?
৬. এখনই প্লান সাজাও, কীভাবে কী করলে প্রতিটি সাব্জেক্ট এর প্রতিটি অধ্যায়ে থাকবে তোমার সমান দখল, কনসেপ্ট থাকবে ফুল ক্লিয়ার, পরীক্ষার প্যাটার্ন সম্পর্কে থাকবে নিখুঁত ধারণা ।
৭. হতাশ, মনমরা হওয়া যাবে না।
সমস্যা যাই হোক সমাধান তো আছেই। পড়াশোনা সংক্রান্ত সমস্যায় তোমার ক্লাসমেট, কোচিং এর ভাইয়ারা তো আছে। ডিসকাস করলেই সমাধান হবে। তবুও পড়াশোনায় তুমি অগ্রগামী থাকো।
আজ এতটুকুই। তোমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এর আল্লাহর কাছে আর্জি রাখছি।
লেখক:
ইউনুস
রসায়ন, সাস্ট।
পরিচালক, রেডিয়াম।